বর্তমানে অধিকাংশ বাড়িতেই তরফে স্মার্ট মিটার লাগানো হচ্ছে বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলির। এই নতুন স্মার্ট মিটারগুলি পুরাতন মিটার পাল্টে লাগিয়ে ফেলা হচ্ছে , আর সেটা শহর হোক কিংবা মফস্বল, কিংবা গ্রাম- সব জায়গাতেই এই নিয়ম দেখা যাচ্ছে। বিদ্যুৎ চুরি রুখে দেওয়া ই হলো এই মিটার গুলির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে। একটি বেআইনি কাজের মধ্যে পড়ে বিদ্যুৎ চুরি। কিন্তু তা সত্ত্বেও অনৈতিকভাবে বিদ্যুৎ চুরি করে অনেক মানুষই। তাদের ধরতেই এই মিটার লাগানো হয়। কিন্তু আপনাদের সামনে আজ তুলে ধরব এই মিটার সংক্রান্ত এমন একটি তথ্য যা দেখলে আপনাদের চক্ষু চরকগাছ হয়ে যাবে।
যদি খেয়াল করেন তাহলে দেখবেন গুলিতে একটি লাল রঙের লাইট জ্বলছে আপনার স্মার্ট মিটার। বাড়িতে মিটার লাগানোর প্রথম দিন থেকেই সেই লাইট জ্বলছে, নেভানোর কোন উপায় নেই। কিন্তু জানেন কি এই লাল লাইটের জন্যে আপনাকে কত টাকা অতিরিক্ত দিতে হচ্ছে? সেই সম্বন্ধেই আপনাকে বিস্তারিত জানানো হবে এই প্রতিবেদনে।
বাড়িতে নম্বর থাকা বিদ্যুতের মিটার বসানো হতো প্রথমে! কিন্তু সমস্ত কিছুই বদলে যাচ্ছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। ধীরে ধীরে এখন মিটার ট্রান্সফার করা হচ্ছে বাড়ির বাইরে। লাল রঙের একটি লাইট জ্বলে মিটারে। তবে এমন কোনও লাইট থাকত না আগের মিটারগুলিতে। কিন্তু নানা ধরনের পন্থা নেওয়া হচ্ছে বিদ্যুৎ চুরি রুখতে। সাহায্য নেওয়া হচ্ছে নয়া প্রযুক্তির। এই লাল লাইট বন্ধ এবং চালু হয়! আর তাতেই মিটারটি চালু আছে তা বোঝা যায় ।
আর তা এই লাল আলোতেই স্পষ্ট হয় যে মিটার চলছে কিনা! তবে আলোর কম্পাঙ্ক বেড়ে যায় মিটারে লোড হঠাত করে বেড়ে গেলে। দ্রুত সেটি অন-অফ হতে শুরু করে। ওই আলোর কম্পন অনেক ধীরে হয় যদি মিটারে লোড নর্মাল থাকে । এমনকি হঠাত করে মোটর কিংবা এসি চালান তাহলেও লাল লাইটের কম্পাঙ্ক অনেক বেড়ে যায়। আর তাতে স্পষ্ট হয়ে যায় যে মিটারে লোড পড়ছে। বিশেষ করে ঘরে কি ধরনের জিনিসে কি লোড তা স্পষ্ট হয়ে যায় এই লাইটে।
২৪ ঘন্টা জ্বলতে থাকে স্মার্ট মিটারে বসানো এই লাল আলো! আর তাতে জানেন কত টাকা খরচ হয়? অনেক বলেন এটা নাকি লাখ টাকার প্রশ্ন! তবে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী এই লাইটের কারনে গোটা মাসে এক থেকে দুই ইউনিট খরচ হয়। খুব বেশি করে ১০ থেকে ২০ টাকা এই লাইট জ্বলার কারনে খরচ হয়ে থাকে। এখন যদি একাধিক ঘরে এর খরচ হিসেব করা হয় তাহলে এর পরিমাণ দাঁড়াবে কয়েক কোটি টাকা। আর সেই টাকা যেভাবেই হোক আপনার কাছ থেকেই নেওয়া হচ্ছে।