আম খেতে ভালোবাসে না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। আট থেকে আশি প্রায় সকলেরই খাদ্য তালিকায় সেরার সেরা নামের জায়গা করে নিয়েছে ফলের রাজা। শুধু ফলের রাজাই নয়, নানা ধরণের গুন রয়েছে তার মধ্যে। সে জন্যই ‘আম’ নিয়ে মানুষের জানার শেষ নেই। শতকরা ১০০ মানুষের মধ্যে খুবই স্বল্প এক শ্রেণীর মানুষ, “আমের উপকারিতা ও অপকারিতা” নিয়ে প্রশ্ন করে। আমরা সকলেই জানি, গাছের এই ফলটার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন ও ক্যালোরি। রয়েছে আয়রন, আঁশ, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি ও প্রচুর পরিমাণে খনিজ উপাদান। এছাড়াও কাঁচা ও পাকা আমে রয়েছে শক্তি বর্ধক কার্বোহাইড্রেট। যা মানুষ ও সকল প্রাণীর জৈবিক খাদ্য চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে। ক্যান্সার থেকে শুরু করে শরীরের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র রোগের বিরুদ্ধে আম লড়াই করে বীর যোদ্ধার মত। তাই এবার দেখে নেওয়া যাক, ঠিক কি কি রয়েছে কাঁচা ও পাকা আমের মধ্যে।
প্রথমে উপকারিতার দিক থেকে দেখতে গেলে আমে থাকে ফাইসেটিন, আইসোকোয়েরসেটিন, কোয়েরসেটিন ও গ্যালিক অ্যাসিড। যা মানুষের
শরীরের বিষাক্ত ক্যান্সারের সেলকে ভাঙতে সাহায্য করে। অন্যদিকে পাকা আমের মধ্যে রয়েছে ক্যান্সার সারানোর একটি বিশেষ গুন। এটি কোলন
ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার, লিউকেমিয়ার ও স্তন ক্যান্সারের গঠনের বিরুদ্ধে কাজ করে। এমনকি আমে রয়েছে ভিটামিন সি, যা মানব শরীরে ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটি লোমকূপের ভেতরে থাকা বিভিন্ন ক্ষতিকর সমস্যার পাশাপাশি ব্রণের বিনাশ ঘটায়।
শুধু তাই নয়, পাকা আম খাওয়ার ফলে দেহের কোলেস্টেরল সঠিক মাত্রায় বৃদ্ধি পায়। চোখের সমস্যা সমাধান করতেও আমের ভূমিকা অপরিসীম। শুধু চোখই নয়, দেহে থাকা পরিপাক যন্ত্র তথা পাকস্থলীকে ঠিক রাখতেও এক বিশেষ ভুমিকা পালন করে আম। তীব্র দাবদাহের হাত থেকে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে কাঁচা আম খুবই উপকারী। এতে থাকা ভিটামিন-সি শরীরকে ঠান্ডাই রাখে না, বরং স্ট্রোকের সম্ভাবনা হ্রাস করে। আমে যে শুধু উপকারিতাই আছে তা কিন্তু নয়। উপকারিতার পাশাপাশি আমে রয়েছে বেশ কয়েকটি অপকারিতাও। যদি কোনও ব্যক্তির ডায়াবেটিস থাকে তাহলে অতিরিক্ত আম খাওয়াটা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। আমের ৯০% ক্যালরি আসে সুগার থেকে। এজন্য বেশি আম খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের সুগার বেড়ে যেতে পারে। তাই তাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আম খাওয়াটাই শ্রেয়।