এখন ভারত : শরীরের ভারসাম্য রক্ষা এবং সুস্থ থাকতে ব্রেকফাস্ট খেতেই হবে। দিনের প্রথম খাবার এবং শরীর তার প্রয়োজনীয় অধিকাংশ শক্তিই এই ব্রেকফাস্ট থেকে পাওয়ায় তা হালকা হওয়া উচিত। পাশাপাশি শরীর যাতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়, সেদিকেও নজর রাখতে হবে। তাই স্যাচুরেটেড ফ্যাট, চিনি এসব অবশ্যই ব্রেকফাস্ট থেকে বাদ রাখবেন। এতে শরীরের ক্ষতি হয়।
কিন্তু জানেন কি, আমাদের ব্রেকফাস্টের পছন্দের কিছু খাবারের মধ্যেই থাকে অতিরিক্ত চিনি। আর সেখান থেকে ওজন বাড়ে, কোলেস্টেরলের সমস্যা বাড়ে, ডায়াবেটিসের সমস্যা আসে।
সুস্বাদু কফি: দিনের শুরুতে অনেকেই কফি খান। পুষ্টিবিদরাও কফি খাওয়ার কথা বলেন। তবে সেসবই কিন্তু চিনি ছাড়া কালো কফি। দুধ, চিনি দিয়ে চা-কফি থেকে দূরে থাকা উচিত।
এক গ্লাস জুস: এক গ্লাস জুস খেয়ে অনেকে ব্রেকফাস্ট করেন। এটা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। সকালে খালি পেটে জুস খাবেন না। কারণ ফলের রস খেলে শরীরে শর্করার মাত্রা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যেতে পারে। তাছাড়া অ্যাসিডিটির সমস্যা ও ওজনও বাড়তে পারে।
সসেজ, বেকন: ইংলিশ ব্রেকফাস্ট যাদের পছন্দ তারা কিন্তু তালিকায় সবার আগে রাখেন সসেজ, বেকন। আর এই বেকন শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। স্যান্ডউইচ বা টোস্ট দিয়ে বেকন খেলে শরীরে সমস্যা আসে। আর বেকনের মধ্যে অনেক বেশি স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। যার জন্য এরকম প্রসেসড মিট একেবারেই এড়িয়ে চলা ভালো।
ফ্লেভারড ওটস: ওটসের মধ্যে প্রচুর পুষ্টি থাকে। আজকাল অনেকেই ব্রেকফাস্টে ওটস খান। শরীরে রক্তশর্করা, ট্রাইগ্লিসারাইড, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওটস ভালো কাজ করে। কিন্তু ফ্লেভারড ওটস একেবারেই খাবেন না। ওটস টকদই বা ম্যাপেল সিরাপ, অন্য কোনও কিছু দিয়েও খেতে পারেন।
মিষ্টিযুক্ত খাবার: ব্রেকফাস্টে কৃত্রিম চিনি বা মিষ্টিযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না। এসব শরীরে অতিরিক্ত মেদ সৃষ্টি করে। সেই সঙ্গে রক্তে কোলেস্টেরল বাড়িয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
মাফিন-ডোনাট: মাফিন, পেস্ট্রি বা ডোনাট প্রাতঃরাশে রাখবেন না। কারণ এর মধ্যে যেমন চিনি থাকে তেমনই স্যাচুরেটেড ফ্যাটও থাকে। ফলে শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা যায়। তাই ব্রেকফাস্ট থেকে স্যান্ডউইচ, পেস্ট্রি, বেকড খাবার বাদ রাখুন।
সাইট্রাস ফল: টমেটো, কমলা লেবু এগুলো ত্বকের জন্য ভালো এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কিন্তু এ ধরনের ফল পেটে অ্যাসিডের উৎপাদন বাড়ায়। সকালে এ ধরনের ফল খেলে পেট জ্বালা এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।