সারাদিনে ২০ মিনিট হাঁটাই আপনার জীবন পাল্টে দেবে

Follw Us Now

এখন ভারত : সুস্থ থাকতে নিয়মিত শরীরচর্চা, খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সঙ্গে হাঁটার অভ্যাসও বেশ কার্যকরী। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত হাঁটলে শরীর যেমন সুস্থ থাকে, তেমনই একাধিক রোধ-ব্যাধি থেকেও দূরে থাকা যায়। মাত্র ২০ মিনিট হাঁটলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বেড়ে যায়। 

প্রতিদিন ২০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করলে পেটের চর্বি বা ভিসারেল ফ্যাট কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে শরীরের অন্যত্র জমে থাকা অতিরিক্ত মেদও কমে যায়। ফলে ওজন কমে। নিয়মিত হাঁটাহাঁটিতে শরীর সুস্থ থাকে। দীর্ঘদিন বাঁচতে চাইলে প্রতিদিন কমপক্ষে ২০ মিনিট হাঁটুন। এতে আপনার আয়ু ৭ বছর বেড়ে যেতে পারে। তাছাড়া, হৃদযন্ত্র ও রক্তনালির সুস্বাস্থ্যের জন্য হাঁটা প্রয়োজন। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, লাঞ্চ এবং ডিনারের পর নিয়ম করে হাঁটার অভ্যাস করলে শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে থাকে না বললেই চলে। প্রতিদিন অনন্ত ২০ মিনিট বা তার কিছু বেশি সময় হাঁটলে শরীরের শুধু মেদই ঝরাবে না। এর ফলে হার্টের অসুখ ভালো হয়। কোলেস্টেরল কমায়। 

তবে দলবেঁধে হাঁটতে বেরবেন না। অনেকেই গল্প করতে করতে হাঁটেন। এই অভ্যাসগুলো কিন্তু মেদ কমানোর পথে বাধা হতে পারে। মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতেও হাঁটবেন না। দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগ বাড়াবে এমন কিছু ভাবতে ভাবতে হাঁটা চলবে না কিছুতেই। বরং সে সব ঠেকাতে ওই সময়টা হেডফোনে গান শুনুন। এতে ফিল গুড হরমোনের জোগান যেমন বাড়বে, তেমনই হাঁটার রিদম কমবে না। তবে ব্যস্ত রাস্তা, যানজটের পথে হাঁটলে হেডফোন অবশ্যই এড়িয়ে চলুন।

হাঁটার সময় কী ধরনের জুতো পরছেন, তার দিকে খেয়াল রাখুন। পায়ের আরাম হয়, এমন জুতো পরুন। অনেকটা রাস্তা হাঁটা যায়, এমন স্পোটস শু বা পাম্পশু পরতে পারলেও ভাল। হাঁটার নির্দিষ্ট কোনও সময়ও নেই। সকালে, বিকেলে বা সন্ধেয়, রাতে খাওয়াদাওয়ার পর – যে কোনওসময় হাঁটতে পারেন। তবে খুব ভরাপেটে আবার একেবারে খালিপেটে হাঁটবেন না।

 

ট্রেন্ডিং খবর