এখন ভারত : স্থূলকায় চেহারা। একটু বয়স বাড়লেই অনেকেই এই সমস্যায় ভোগেন। আর তখনই আমরা মুঠো মুঠো ওষুধ খাওয়া শুরু করি। কিন্তু ওষুধ খেয়েও অনেক সময় কোনও কাজ হয় না। তবে কিছু প্রাকৃতিক উপায়ও আছে যাতে আপনি পেতে পারেন ভাল ফল। যেমন তেঁতুল। তেঁতুল আমাদের শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেয় এবং হজম প্রক্রিয়াকে সঠিক রাখে। এছাড়াও খারাপ কোলেস্টেরল ধ্বংস করে।
যাঁরা টক ভালবাসেন তাঁদের কাছে এই জাতীয় ফলের মধ্যে পছন্দের প্রথম সারিতে রয়েছে তেঁতুল৷ দক্ষিণী রান্নায় তেতুলের যথেষ্ট ব্যবহার হয়। কিন্তু এই আম্লিক ফলের ব্যবহার বাঙালি রান্নায় তেমন একটা দেখা যায় না।
বসন্তকাল থেকেই বাজারে ভাল পাকা তেঁতুল উঠে যায়৷ কাঁচা ও পাকা, দু’ রকম তেঁতুলই শরীরের জন্য উপকারী৷ গরমের তীব্রতা থেকে শরীরকে শীতল রাখতে তেতুলের গুরুত্ব অপরিসীম৷ এ ছাড়াও একাধিক গুণে সমৃদ্ধ তেতুল৷ জেনে নিন এর গুণ সম্বন্ধে৷
ফাইবার সমৃদ্ধ তেঁতুল শরীরে মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে৷ পরিপাক ক্রিয়া স্বাভাবিক রাখে৷ হজম প্রক্রিয়া দ্রুত হয়। তেঁতুলের পটাশিয়াম রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করে৷ শরীরে ফ্লুইডের ভারসাম্য বজায় রাখতে তেঁতুলের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে ৷ এছাড়া তেঁতুলে থাকা আয়রন শরীরে লোহিত রক্তকণিকা উৎপন্ন করে৷ রক্ত প্রবাহ ঠিক থাকে৷
তেতুলের গুণের তালিকা এখানেই শেষ নয়। তেঁতুলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যৌগ হল হাইড্রোক্সিসায়াট্রিক অ্যাসিড ৷ এই যৌগ জমানো বাড়তি মেদ গলিয়ে দিতে দারুণ কার্যকর এর ফলে আমাদের ওজন কমাতে ও রোগা হতে সাহায্য করে তেঁতুল ৷ এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার৷ ফলে তেঁতুল খেলে পেটও ভরা থাকে অনেকক্ষণ ৷ তাই যাঁদের জাঙ্ক ও হাই ক্যালরি খাবার খাওয়ার প্রবণতা রয়েছে তাঁরা তেঁতুল খেতে পারেন। ধীরে ধীরে জাঙ্ক ও হাই ক্যালরি খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমবে৷
তেঁতুলে আছে প্রচুর ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট৷ এদের প্রভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়৷ মাইক্রোবিয়াল ও ফাঙ্গাল ইনফেকশনের আশঙ্কা কম থাকে৷ এর অ্যান্টিসেপ্টিক বৈশিষ্ট্য যে কোনও সংক্রমণ নিরাময় করে৷
তেঁতুল থাকা অ্যান্টি ইনফ্লেম্যাটরি বৈশিষ্ট্য আর্থ্রাইটিস, গাঁটের ব্যথা-সহ অন্যান্য যন্ত্রণা সহজেই দূর করে ৷ আয়ুর্বেদশাস্ত্রে অনেক দিন ধরেই ওষধি হিসেবে তেঁতুলের ব্যবহার হয়ে আসছে৷
তেঁতুল ভিটামিন এ থাকায় চোখের যাবতীয় সমস্যা দূর করতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে।