এখন ভারত : এ রাজ্যের অন্যতম ব্যস্ত দুটি রেল স্টেশনে আসতে চলেছে আমূল পরিবর্তন। ব্যবহার করা হবে উন্নত প্রযুক্তির ।ইন্ডিয়ান রেলওয়ের তরফে করা হচ্ছে সারাদেশের বিভিন্ন রেল স্টেশনের পুনর্বিকাশ। আর তারই অংশ হিসেবে বাংলার দুটি ব্যস্ত রেল স্টেশনের পরিকাঠামোর উন্নয়ন করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এই দুটি রেলস্টেশনের মধ্যে একটি হল হাওড়া স্টেশন। যা প্রায় ১৬৮ বছরের পুরনো ।অপরটি কলকাতা স্টেশন। ইতিমধ্যেই এই দুই রেলস্টেশনের নতুন পরিকাঠামোর বিষয়ে ডিজাইন তৈরি করা হয়েছে। তবে জানা গিয়েছে, হাওড়া স্টেশনের ডিজাইন আবারও তৈরি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষের তরফে।
বিশ্বমানের উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, এই রেল স্টেশন গুলিকে বিমানবন্দরের আদলে তৈরি করতে চাইছেন ।
হাওড়া স্টেশনের নতুন পরিকাঠামোর বিষয়ে ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার মনীশ জৈন জানান, দুটি ভাগে ভাগ করা হবে হাওড়া স্টেশনকে। যাত্রীরা ট্রেন ধরতে স্টেশনে আসলে সরাসরি উড়াল পুলের মাধ্যমে পৌঁছে যাবেন দোতলায়।এছাড়াও এখানে তৈরি হবে একাধিক ফ্লাইওভার।
এছাড়াও হাওড়া স্টেশনের দোতলায় শপিংমল থেকে শুরু করে বন্দোবস্ত থাকবে একাধিক বিনোদনের স্থানের। অর্থাৎ ট্রেন আসার আগে একেবারেই বোর হবেন না যাত্রীরা। তাদের কাছে শপিং করা ছাড়াও বিভিন্নভাবে টাইম পাস করার অপশন থাকবে। এখান থেকে সাব ওয়েতে নামার জন্য লিফটের বন্দোবস্ত করা হবে বলে জানা গিয়েছে। যাত্রীদের সুবিধার জন্য আরও একাধিক ব্যবস্থা রাখা হবে এই স্টেশনে।
কলকাতা স্টেশনটিও দোতলা করা হবে বলে সূত্রের খবর। থাকবে উড়ালপুল, লিফট, এস্কেলেটর। কলকাতা বা চিতপুর স্টেশনে পৌঁছতে গেলে বর্তমানে যাত্রীদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।ক্যানাল রোডের দিক থেকে কলকাতা স্টেশনে যাওয়ার জন্য একটি বিশেষ ফুট তৈরি হবে বলে জানা গিয়েছে।
এই দুটি রেলস্টেশনের মধ্যে হাওড়া স্টেশনের পরিকাঠামোর প্রথম যে ডিজাইনটি ছিল তাতে কিছু সংযোজন করতে বলা হয়েছে। সেই কারণেই আবারো ডিজাইনটি পুনরায় তৈরি করতে বলা হয়েছে। অতি দ্রুত এই দুই স্টেশনের কাজ শুরু হবে বলে সূত্রের খবর। হাওড়া স্টেশনের ডিজাইনের কাজ পুজোর মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে, তারপরেই টেন্ডার ডাকা হবে। অন্যদিকে কলকাতা স্টেশনের কাজ শুরু করার জন্য টেন্ডার অতি শীঘ্র ডাকা হবে বলে জানা গিয়েছে।