হোম গ্রাউন্ডে ইংল্যান্ডকে ৩০ ব্যবধানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ পকেটে পুরনো বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে ভালো খেললেন লিটন দাস।
ইংল্যান্ড এবং বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের তৃতীয় ম্যাচ টি আয়োজিত হয় শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে। টসে যে তারপর এদিন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বাটলার ব্যাটিং করতে দেন। বাংলাদেশকে। ব্যাটিং করতে নেমে দুই বাংলাদেশি ওপেন এন্ড লিটন দাস এবং রনি তালুকদার শুরুটা ভালোই করেছিলেন তবে ২৪ রানের মাথায় আউট হয়ে যান রনি তালুকদার
৫৩ রানে মালানি এবং ৪০ রানে বাটলার আউট হন এরপর থেকে বিপর্যয় নেমে আসে, ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন আপে হুরমুড় করে ভেঙে পড়ে তাদের ব্যাটিং অর্ডার পরের দিকে যারা বেটার রয়েছেন তাদের মধ্যে কেউই ভালো রান করতে পারেননি শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে কুড়ি ওভারে ১৪২ রান করে ইংল্যান্ড ১৬ রানে দিন হাঁটতে হয় তাদের
চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে ৬ উইকেটে হারে ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ম্যাচে চার উইকেটে হারে ইংল্যান্ড। তৃতীয় তথা শেষ ম্যাচেও বাংলাদেশের কাছে ১৬ রানে হারলো ইংল্যান্ড বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হোয়াইট ওয়াশ করে দিয়ে সিরিজ জয়ী হলো বাংলাদেশ
তবে এখান থেকেই ম্যাচ ঘুরে যায় দ্বিতীয় ইনিংসের ১৪ তম ওভারে পরপর আওথন মালান এবং ইংল্যান্ড অধিনায়ক বাটলার
রান তারা করতে নেমে প্রথম ওভারে ইংল্যান্ডের ফিল সল্ট শূন্য রানে আউট হয়ে যান। এরপর ব্যাটিং লাইন এর আপের হাল ধরেন অধিনায়ক জশ পাতলার এবং দাউইদ মালান। তাদের প্রচেষ্টায় ইংল্যান্ড ১০০ রানের গণ্ডি পেরোন। যখন ইংল্যান্ডের হাতে ছিল নয় উইকেট জেতার জন্য প্রয়োজন ছিল ৫৮ রান তাও আবার 42 বলে এ সময় মনে হচ্ছিল ম্যাচ জিতে নেবে ইংল্যান্ড।
এই ম্যাচে ভালো খেলেছেন লিটন দাস ৫৭ বলে ৭৩ রান করে অপরাজিতা থাকেন তিনি নাজমুল হাসান শান্ত এবং লিটন দাস সেদিন বাংলাদেশের ব্যাটিং এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কুড়ি ওভারে দিন দুই উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান করে বাংলাদেশ। নাজমুল হাসান শান্তর ব্যাগ থেকে আসে ৪৭ রান
টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারানোর পর স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড় থেকে শুরু করে সমর্থকরা ইংল্যান্ডকে দূরমুস করে দিয়ে কার্যত এই টুর্নামেন্ট নিজেদের পকেটে পড়লো বাংলাদেশ।