এখন ভারত : গরমকালে যেসব ফল পাওয়া যায় তার মধ্যে অন্যতম হল তালের শাঁস। এই তালশাঁস আসলে তালের বীজ। প্রতিটি তালেই ২ থেকে ৩টি শাঁস হয়। গ্রীষ্মে এর চাহিদাও ব্যাপক থাকে। তালের শাঁস খেলে বিভিন্ন রোগ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। তালশাঁসকে নারকেলের মতোই পুষ্টিকর বলে বিবেচনা করা হয়। এতে প্রচুর পরিমাণ জল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, ফাইবার এবং খনিজ উপাদান থাকে।
তালশাঁসের যেসব পুষ্টিগুণ রয়েছে তা জেনে নেওয়া যাক:
১) গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে তালশাঁস। এসময় তাপমাত্রার কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া, চুল পড়া ইত্যাদি রোধ করতে সাহায্য করে এটি।
২) পাকস্থলীর বিভিন্ন সমস্যা এবং হজমের সহায়ক হিসেবে প্রাকৃতিক ওষুধের মতো কাজ করে। কোষ্টকাঠিন্য কমায় এবং হজমশক্তি বাড়ায়। আলসার এবং এসিডিটি দূর করতেও সাহায্য করে। গভর্বতী নারীদের হজমের জন্য তালশাঁস বেশ উপকারী।
৩) তালের শাঁস ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে। এতে প্রচুর পরিমাণে জল থাকায় দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় হৃদরোগ, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে ও আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৪) তালের শাঁস আমাদের স্মৃতিশক্তি ভালো রাখে। শারীরিক স্বাস্থ্য রক্ষা করে। বমিভাব আর মুখের অরুচি দূর করে।
৫) এতে ক্যালসিয়াম থাকায় দাঁতের এনামেল ভালো রাখে এবং দাঁতের ক্ষয় রোধ করে।
৬) তালের শাঁস হাড়কে শক্তিশালী করে তোলে। রক্তশূন্যতা দূর করতেও দারুণ ভূমিকা রাখে।
৭) এতে আছে পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, আয়রন, সালফার, সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, ম্যাগনেসিয়ামের মতো বেশ কিছু উপকারী উপাদান। যা আমাদের চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
৮) তালশাঁস খেলে লিভারের সমস্যা দূর হয়। এতে থাকা ভিটামিন সি ও বি কমপ্লেক্স খাবারে রুচি বাড়াতে সাহায্য করে।
৯) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি খেলে শরীরে নাইট্রেটের পরিমাণ বাড়ে, যা প্রাকৃতিক উপায়ে আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
১০) গরমে ত্বকে কোনো ধরনের র্যাশ বা ব্রণ দেখা দিলে তালের শাঁস মুখে লাগাতে পারেন। এতে ত্বকের সমস্যা কমে যাবে।
১১) রক্তাল্পতা থেকে থাকে দূর করতেও তালের শাঁস উপকারী।