এখন ভারত : কথায় কথায় বিড়ালকে বাঘের মাসি তো বলেন। কিন্তু কেন বলেন তা কী জানেন? কুকুরে মতোই পোষ্য হিসেবে যে বিড়ালও খুব জনপ্রিয় তা সকলেরই জানা। অনেকেই বাড়িতে বিড়াল পোষেন, অনেকে আবার পাড়ার বিড়ালদেরও ঘরের লোকের মতোই যত্ন নেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই প্রশ্ন খুবই জনপ্রিয় যে বিড়ালকে কেন বাঘের মাসি বলা হয়? এটা কী একটা প্রচলিত কথা? নাকি এর পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে। বিড়ালকে হঠাৎ বাঘের মাসি কেন বলা হয়? কী এমন রয়েছে, যে বিড়ালের মতো ছোট্ট একটি প্রাণীকে বাঘের সঙ্গে একই গোত্রে ফেলা হয়?
তাহলে আপনাদের জানাই, বিড়ালকে বাঘের মাসি বলা হয় ঠিকই, কিন্তু বিড়াল আসলে বাঘের মাসি নয়। বিড়াল ৯৫% বাঘই। বাঘের মধ্যের শুধু চারিত্রিক স্বভাবই যে বিড়ালের সঙ্গে মেলে তা নয়। বিড়ালের সঙ্গে বাঘের শারীরিক এবং জেনেটিক মিলও রয়েছে।
পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, আপনার আমার বাড়িতে পোষা বিড়ালটির মধ্যে ৯৫.৬% ডিএনএ রয়েছে বাঘের। অনেকে আবার বলেন, বিড়াল বাঘের মতোই চালাক। বিড়াল প্রায় ১২ হাত লাফাতে পারে। বিড়াল একবার কারো টুঁটি ধরলে তাকে জীবিত ছাড়ে না। বাঘের সঙ্গে এত মিল থাকার জন্যই বিড়ালকে বাঘের মাসি বলা হয়। তাই এবার থেকে আর বিড়ালকে বাঘের মাসি বলে ভুল করবেন না। বিড়াল কিন্তু বাঘেরই এক ছোটো রূপ।