এখন ভারত : শরীরের কোনও গোলমাল হলে তা ত্বকের ওপর প্রভাব ফেলে। আমরা রোজ যে খাবার খাই তার মাধ্যমে পর্যাপ্ত ভিটামিন, মিনারেল বা খনিজ এবং নানা ধরনের পোষক পদার্থ শরীরে যায়। ফলে সেভাবেই ডায়েট বানাতে হয়। ভিটামিন, অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট, মিনারেল ঠিকমতো শরীরে না গেলে তার প্রভাব ত্বকে পড়ে। এতে সহজেই বয়সবৃদ্ধি আপনার ত্বকে ও চোখে ছাপ ফেলতে পারে।
বেশ কিছু খাবার আছে, যাদের অ্যান্টি এজিং বলা হয়। এই ধরনের খাবারগুলি ভিটামিন, এলাজিক অ্যাসিড, প্রাকৃতিক কোলাজেন বুস্টার এসব সমৃদ্ধ হয়। এসব শরীরে বয়সের ছাপ ফেলতে বাধা দেয়।
গ্রিন টি : প্রতিদিনের খাবারে অ্যান্টি অক্সিড্যান্টের উৎস রাখা উচিত। সেই চাহিদা প্রায় অনেকটাই পূরণ করতে পারে গ্রিন টি। অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট মূলত মানবদেহে কোষের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ গ্রিন টি একাধিক ক্রনিক রোগ দূরে রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের জন্য ও পাচনতন্ত্রের জন্য গ্রিন টি অত্যন্ত উপকারী। পুরুষদের প্রস্টেট সংক্রান্ত সমস্যা রুখতে কাজ করে।
ডার্ক চকোলেট : ডার্ক চকোলেটের অনেক গুণ রয়েছে। এর পুষ্টিগুণও অনেক বেশি। এতেও প্রচুর অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট থাকে। যা অ্যান্টি এজিং এলিমেন্ট হিসেবে কাজ করে। ডার্ক চকোলেটে প্রচুর ফ্ল্যাভোনল রয়েছে। যা রোদ থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
অলিভ অয়েল : অলিভ অয়েল হেলদি ফ্যাট এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ হয়। যা প্রদাহ, অক্সিডেটিভ ড্যামেজ, বলিরেখা তৈরিতে বাধা দেয়। হৃদযন্ত্র ও ধমনীর জন্য প্রয়োজনীয় ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডেরও ভালো উৎস এটি।
মাছ : বিভিন্ন ধরনের ছোটো ও কিছু সামুদ্রিক মাছ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এই মাছগুলি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎস। এছাড়াও এই মাছগুলি থেকে বিভিন্ন খনিজ পদার্থ পাওয়া যায়। এতে থাকে ভিটামিন ই এবং জিঙ্ক। যা সুস্থ শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার : যে ফলে বা সব্জিতে ভিটামিন সি রয়েছে সেগুলি পাতে রাখতেই হবে। সারা বছর ধরেই বিভিন্ন মরসুমে বিভিন্ন ফল পাওয়া যায় যা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। এটি বলিরেখা রুখতে সাহায্য করে। কিউই সবচেয়ে বেশি উপকারী।
বাদাম : বার্ধক্য দূরে রাখতে গেলে প্রতিদিনের ডায়েটে বাদাম রাখতেই হবে। বাদামে বিভিন্ন ধরনের পোষক পদার্থ, প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ থাকে। আমন্ড ও আখরোটে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই থাকে। যা ত্বককে রোদের হাত থেকে রক্ষা করে। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্যও বাদাম উপকারী