পুরভোটের ফলাফল ঘোষণার ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই ২মার্চ বিকেলে বর্ধমান শহরের ২৭নম্বর ওয়ার্ডের বাবুরবাগ এলাকার এক তৃণমূল কর্মী নাবালিকার রহস্য মৃত্যুর ঘটনার ৭২ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও পরিবারের দায়ের করা অভিযোগের মূল অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলার সেখ বসিরুদ্দিন আহমেদ ওরফে বাদশা এখনও অধরা। যদিও ঘটনার দিন রাতেই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে এলাকার তিন মহিলা সহ এক যুবককে বর্ধমান থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। উল্লেখ্য মৃতার দিদি তার বোনের মৃত্যুর জন্য এলাকার কাউন্সিলার সহ ১৪জনের বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ জমা করেছিলেন।
এদিকে ঘটনার পরের দিনই বর্ধমান শহরের কার্জন গেট চত্বরে দলেরই এক প্রতিবাদ কর্মসূচিতে খোদ অভিযুক্ত কাউন্সিলারকে বহাল তবিয়তে হাজির থাকতে দেখা গেছে বলেই অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। এমনকি এলাকাতেও প্রতিদিন ঘুরতে দেখা যাচ্ছে অভিযোগে নাম থাকা অন্যান্য অভিযুক্তদের, এমনকি কাউন্সিলার কেও। এই নিয়ে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের পাশাপশি আতংকের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। যদিও বর্ধমান জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তদের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি অভিযান জারি রেখেছে। ইতিমধ্যেই চারজ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত ও তল্লাশি চলছে।
অন্যদিকে পুরভোটের ফলাফল ঘোষণার পরই শহরের বাবুরবাগে যেভাবে তৃণমূলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল তারই পরিণতিতে একটি তরতাজা নাবালিকা আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে বলেই ইতিমধ্যে সোচ্চার হয়েছে এসএফআই, এস ইউ সি আই, জাতীয় কংগ্রেস থেকে অন্যান্য রাজনৈতিক দল। দলমত নির্বিশেষে সকলেই এই ঘটনার যেমন চরম নিন্দা করেছে, পাশপাশি অতিদ্রুত ঘটনায় যুক্ত দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে নেতৃত্বরা। এদিকে মৃতা নাবালিকা এলাকায় তৃণমূলের যে গোষ্ঠীর সঙ্গে রাজনীতি করতো সেই গোষ্ঠীর নেতা মুক্তার মিঞা জানিয়েছেন, সেখ বসিরুদ্দিন আহমেদ ওরফে বাদশা এর আগে এলাকার কাউন্সিলার থাকাকালীন এলাকার মানুষের সঙ্গে দিনের দিনের পর দিন দুর্ব্যবহার করে এসেছেন। এলাকার উন্নয়নের থেকে নিজের আখের গোছাতেই বেশি সময় দিয়েছেন।