এখন ভারত : রান্নায় কমবেশি পেঁয়াজের ব্যবহার সব ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। তা আমিষ খাবার হোক বা নিরামিষ। পেঁয়াজের খোসা আলাদা করার পর তা সাধারণত আপনি আবর্জনার মধ্যেই ফেলে দিয়ে থাকেন। কিন্তু জানলে অবাক হবেন, পেঁয়াজের মতো এর খোসাও অনেক উপকারী।
দিনে একবার পেঁয়াজের খোসা মিশিয়ে চা পান করতে পারেন। নিয়মিত তা খেলে ড্রাই স্কিনের সমস্যা দূর হয়। কারণ এটি ত্বকের নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে। পেঁয়াজের খোসায় ভিটামিন ‘এ’ সহ আরও বেশ কিছু পুষ্টি উপাদান থাকায় তা দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সহায়ক।
ঋতু পরিবর্তনের সময় প্রায়ই আমরা সর্দি, কাশি, জ্বরের কবলে পড়ি। এইসব কিছু মোকাবেলায় পেঁয়াজের খোসা খুব কার্যকরী। পেঁয়াজের খোসায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি পাওয়া যায়। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং ভাইরাসজনিত রোগ এড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া পেঁয়াজের খোসা মেশানো চা খেলে গলা ব্যথার সমস্যাও দূর হয়।
পেঁয়াজের খোসা আপনার চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে। জলে এই খোসা সেদ্ধ করে সেই জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেললে চুল তাড়াতাড়ি বাড়ে। মাথার খুশকির সমস্যাও দূর হয়। আসলে পেঁয়াজ এবং এর খোসায় প্রচুর পরিমাণে সালফার থাকায় তা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়ক। তাছাড়া এই জলের নিয়মিত ব্যবহারে চুল কালো ও ঘন হয়।
যদি কেউ পায়ে ব্যথার সমস্যায় এবং পেশীতে খিঁচুনির কারণে ভোগেন তাহলে তা থেকে মুক্তি পেতেও পেঁয়াজের খোসা থেকে তৈরি চা খেতে পারেন। এর জন্য ১ গ্লাস জলে পেঁয়াজের খোসা রেখে ১৫ মিনিট ফুটিয়ে নিয়ে তা পরিশ্রুত করতে হবে। আপনি চাইলে পেঁয়াজের খোসা থেকে তৈরি চায়ের স্বাদ বাড়াতে একটু মধুও যোগ করতে পারেন। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে হওয়ার আগে পেঁয়াজের খোসা দিয়ে তৈরি চা খেলে ওই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
পেঁয়াজের খোসায় অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা অ্যাথলিটস ফুট নামক চুলকানি ত্বকের মতো রোগ থেকে মুক্তি পেতে উপকারী। এই সুবিধা পাওয়ার জন্য জলে পেঁয়াজের খোসা রেখে ভালো করে ফুটিয়ে নিন এবং ঠান্ডা করে বোতলে ভরে নিন। এবার এই জল প্রতিদিন আক্রান্ত জায়গায় লাগালে চুলকানির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।