দাঁতের হলদেটে ভাব দূর করতে চান, জেনে নিন ঘরোয়া পাঁচটি উপায়

Follw Us Now

 

সবাই মিলে বসে গল্প গুজব চলছে  এরই মধ্যে একটি হাসির কথায় সবাই হো হো করে হেসে উঠল। কিন্তু আপনি পারছেন না। কারণ বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আপনার দাঁতের হলুদ ছোপ। অবশ্য আপনি একা নন এমন সমস্যায় আমাদের অনেককেই পড়তে হয়।

নানা কারণেই ঝকঝকে সাদা দাঁতে হলদে ভাব বা দাগ দেখা যায়। যা সুন্দর হাসি ম্লান করে দেয়। হলদে ভাব কাটিয়ে দাঁত ফের উজ্জ্বল, ঝকঝকে সাদা করে তুলতে আধুনিক পদ্ধতির সাহায্য নিয়ে থাকেন অনেকেই। এক্ষেত্রে ঝকঝকে দাঁত পাওয়ার পরিবর্তে নানা সমস্যা দেখা দেয়। তাই দাঁতকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হলে আজ থেকেই এই পাঁচটি ঘরোয়া পদ্ধতি কাজে লাগান। রাতারাতি পরিবর্তন বুঝতে পারবেন।

কলার খোসা : কলার খোসার সাদা দিকটি নিয়মিত দাঁতে ঘোষুন। ম্যাজিকের মতো দিন কয়েকের মধ্যেই দাঁতের হলদেটে ভাব উধাও হয়ে দাঁত হয়ে উঠবে ধবধবে সাদা।  তবে কলার খোসা দিয়ে দাঁত ঘষার পর অবশ্যই হলকা গরম জল দিয়ে কুলকুচি করতে হবে।

তুলসি পাতা :  একাধিক গুণসম্পন্ন তুলসী পাতা দাঁতের স্বাস্থ্যের পক্ষে বেশ উপকারী। তুলসি পাতা রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন। এবার প্রতিদিন ব্রাশ করার সময় এই গুড়ো টুথপেস্টের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। দাঁতের হলুদ ভাব চলে যাবে। 

নুন : দাঁতকে পরিষ্কার রাখতে বহু যুগ ধরেই নুনের ব্যবহার হয়ে আসছে। নুন দাঁতের পুষ্টির ঘাটতি দূর করার পাশপাশি দাঁতের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও দারুণ উপকারী। বিশেষজ্ঞরাও নুন ব্যবহারের পরামর্শ দেন। চারকোলের (কাঠকয়লা) সঙ্গে নুন মিশিয়ে সেই মিশ্রণ দিয়ে দাঁত মাজতে হবে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দাঁতের হলদে ভাব চলে যাবে।

কমলা লেবুর খোসা :  রূপচর্চায় অনেকেই কমলালেবুর খোসা ব্যবহার করেন। তবে জানেন কি দাঁতের সৌন্দর্য ফেরাতেও কমলা লেবুর খোসার ভূমিকা অপরিসীম। রোজ রাতে সামান্য কমলা লেবুর খোসা নিয়ে দাঁতে একটু সময় নিয়ে ঘষুন। নিয়মিত এমনটা করলেই দাঁতের হলদে ভাব কমে উজ্জ্বাল্য বাড়াবে।

খাবার সোডা : দাঁতের হলদেটে ভাব কাটাতে খাবার সোডাও দারুন ভালো কাজ করে। রোজ সকালে টুথপেস্টের সঙ্গে সামান্য পরিমাণ খাবার সোডা মিশিয়ে দাঁত মাজুন। তারপর উষ্ণ জল দিয়ে ভাল করে কুলকুচি করে মুখ ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দু’দিন  উপকার  বুঝতে পারবেন।

তবে দাঁত ঝকঝকে সাদা আর সুস্থ রাখতে হলে সব সময় খাবার পর অবশ্যই মুখ ভাল করে ধুতে হবে। ধূমপানের অভ্যাস থাকলে অবিলম্বে তা ত্যাগ করুন। এছাড়াও

বছরে অন্তত দু’বার দন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া একান্ত জরুরি।

ব্যুরো রিপোর্ট, পিএস আনন্দ বাংলা।

ট্রেন্ডিং খবর