এখন ভারত : কয়েক বছর ধরে ভারতজুড়ে মানুষের মধ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ি কেনার প্রবণতা ক্রমশই বাড়ছে। পেট্রোল-ডিজেলের লাগামছাড়া দামবৃদ্ধিতে অর্থ সাশ্রয়ের জন্য এই প্রবণতাকে আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রিতে দেশের অন্য রাজ্যগুলিকে পিছনে ফেলে দিয়েছে মহারাষ্ট্র। রাজ্যের পরিবহণ দফতরের হিসেব বলছে, গত আর্থিক বছরের তুলনায় চলতি অর্থবর্ষে মহারাষ্ট্রে নতুন বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি বেড়েছে প্রায় ৪০০ শতাংশ। যেখানে বাণিজ্যনগরী মুম্বইতে এই বৃদ্ধির হার ৩০০ শতাংশ।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর এপ্রিল থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে মহারাষ্ট্রে ২৩,৭৯৬ টি বৈদ্যুতিক গাড়ি পরিবহণ দফতরে নথিভুক্ত হয়েছে। শুনলে অবাক হবেন চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ (এখনও শেষ হয়নি) পর্যন্ত সেই সংখ্যাটা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, মাত্র এই তিন মাসে ৪৬,১০৮টি গাড়ি নথিভুক্ত হয়েছে। শুধু মুম্বই শহরে চলতি অর্থবর্ষে এখনও পর্যন্ত মোট ৬,০০০ নতুন বৈদ্যুতিক গাড়ি নথিভুক্ত হয়েছে। যার মধ্যে গত তিন মাসে নথিভুক্ত হয়েছে ২,৫০০টি গাড়ি।
হঠাৎ কি কারণে সংখ্যাটা এত বেড়ে গেল?
এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের বাজারে পেট্রোল, ডিজেলের দাম মাত্রাছাড়া হয়েছে। তাই গাড়ি কেনার আগেই চিন্তা করতে হচ্ছে পেট্রোল-ডিজেলের খরচ নিয়ে। এই পরিস্থিতিতে তাই বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা বাড়ছে। পেট্রোল চলে এমন গাড়ির তুলনায় ভারতের বাজারে বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম এখনও অনেকটাই বেশি। কিন্ত কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে এই ধরনের গাড়ির দাম কমানোর চেষ্টা করছেন। ফলে সেই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছেন বহু মানুষ।
মহারাষ্ট্রের পরিসংখ্যান অনেকটাই চমকে দেওয়ার মতো। জানা যাচ্ছে, মহারাষ্ট্রের মতো বেশ কয়েকটি রাজ্য বৈদ্যুতিক গাড়ি কিনলে ক্রেতাকে ভর্তুকি দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে ইতিমধ্যেই। এই সুযোগকে ক্রেতারা কোনওমতেই হাতছাড়া করতে নারাজ। যার সুফল মিলছে হাতেনাতে। নতুন প্রজন্মের ক্রেতারা অনেক বেশি সচেতন সব দিক থেকেই। বিশেষ করে অর্থনৈতিক বিষয়ে। অনেকে পরিবেশ সচেতনও বটে। তাছাড়া করোনা পরিস্থিতিও মানুষকে আগের তুলনায় অনেকটাই সাশ্রয়ী করে তুলেছে। তাই বৈদ্যুতিক গাড়ি এই প্রজন্মের ছেলে মেয়েদের কাছে বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।