এখন ভারত : বুধবার রবীন্দ্রসদনে সঙ্গীতশিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নথকে গান স্যালুটে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। এদিনই মুম্বই থেকে তাঁর পরিবার এসে পৌঁছায় শহরে। এসএসকেএমে ময়নাতদন্তের পর রবীন্দ্রসদনে মরদেহ নিয়ে গিয়ে গান স্যালুট দেওয়া হয়। এদিন সকালেই বাঁকুড়ার সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী গান স্যালুট দেওয়ার কথা ঘোষণা করে বলেন, ‘কে কে-র স্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে দমদম বিমানবন্দরে এসে শ্রদ্ধা জানাব। অন্তত যদি শেষ দেখা দেখা যায়, পুলিশকে দিয়ে গান স্যালুট করাব।’ কে কে-র প্রয়াণেও শোকজ্ঞাপন করে তিনি নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, ‘বলিউডের প্লে ব্যাক গায়ক কে কে-র আকস্মিক ও অকালমৃত্যুতে আমরা মর্মাহত। সবরকম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা, তাঁর শেষকৃত্য, পরিবারকে সহায়তা দিতে গতকাল রাত থেকেই আমার সহকর্মীরা কাজ করছেন। গভীর সমবেদনা জানাই।’ এদিন রাজ্য সরকারের তরফে রবীন্দ্র সদনে গান স্যালুট দেওয়ার পর, বিকেলে শিল্পীর মরদেহ নিয়ে মুম্বই রওনা দেন পরিবারের সদস্যরা। আজ সেখানেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে গুরুদাস কলেজের অনুষ্ঠানে এসে গান গাওয়ার সময়ই কে কে অসুস্থ বোধ করেন। সূত্রের খবর, অনুষ্ঠানের সময় স্পট লাইট অফ করতে বলেছিলেন। অনুষ্ঠানের বিরতিতে ব্যাক স্টেজে বিশ্রামও নেন তিনি। এরপরই তিনি হোটেলে ফিরে যান। সেখান থেকে কলকাতার এক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতাল সূত্রের খবর, কে কে-র কপাল ও ঠোঁটে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এসএসকেএমে মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়। সঙ্গীতশিল্পীর মৃত্যুতে নিউ মার্কেট থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলাও রুজু হয়েছে। শারীরিক অসুস্থতা নাকি অন্য কোনও কারণে তাঁর মৃত্যু তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি গ্র্যান্ড হোটেলের শিফট ম্যানেজার, হোটেল কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে হোটেলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।