কমেছে করোনার দাপট, বন্ধ হচ্ছে কোভিডের কলার টিউন

Follw Us Now

এখন ভারত : ‘যবতক দাওয়াই নেহি, তবতক ঢিলাই নেহি’। কে কি কারনে এটা বলতেন, এখন তা আর কারোঈ অজানা নয়। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন। ফোনের ওপার থেকে ভেসে আসত বিগ বি-র ব্যারিটোন। দেশজুড়ে গত দু’বছর ধরে ফোন করলেই কানে ভাসছে কোভিড কলারটিউন। ৩০ সেকেন্ডের সেই বার্তায় রয়েছে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে থেকে কীভাবে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। সুরক্ষিত থাকবে দেশবাসী। ২০২০ সালে প্রথম এই কলারটিউনের নেপথ্য কণ্ঠ ছিল জ্যাসলিন ভল্লা নামে এক কণ্ঠশিল্পী। এর পর ফোন করলে কোভিড সতর্কতা বিষয়ে বাণী শোনা যেত অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের গলায়। ওই সময়ে এই বার্তা নিয়ে অভিযোগও উঠে এসেছিল।


বচ্চনের গলা শুনেও অসন্তোষ প্রকাশ!

 হ্যাঁ ঠিক তাই। কারণ, জরুরি ফোনের সময়ে ওই বার্তা শুনে অকারণ সময় নষ্ট হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন  অনেকে। এমনকী, এ নিয়ে মামলা পর্যন্ত গড়ায়। ২০২১ সালের জানুয়ারির প্রথম দিকে এ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় দিল্লি হাই কোর্টে। সে বছরই জুলাইতে করোনা আক্রান্ত হন অমিতাভ বচ্চন। দেশের মানুষকে কোভিড সতর্ক করে শেষে নিজেই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন। 

তবে দৃষ্টি করোনা মুক্ত করতে কেন্দ্রের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে কাউকে ফোন করলেই সেই একই কথা শুনতে শুনতে দেশবাসীর একাংশের মধ্যে বিরক্তিও জমছিল। এবার তাঁদের জন্য কিছুটা স্বস্তি।

তৃতীয় ধাপের কোভিডের দাপট অনেকটাই থিতু হয়েছে। চলতি বছরের গোড়ার দিকে টানা পাঁচ সপ্তাহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ছিল নিম্নমুখী। বর্তমানে দেশে দৈনিক করোনা সংক্রমণের হার অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। স্বাভাবিক জীবন ছন্দে ফিরেছে সবকিছুই। স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে শুরু করেছেন দেশবাসী। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কোভিড কলারটিউন বন্ধ করার। 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রায় দু’বছর আগে দেশে করোনা মহামারী ছড়িয়ে পড়তেই কোভিড -১৯ কলার টিউনটি চালু করা হয়েছিল। ভারতী এয়ারটেল, বিএসএনএল, রিলায়েন্স জিও এবং ভোডাফোন আইডিয়া সহ বিভিন্ন অপারেটররা ২০২০ সালের মার্চ মাসে কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করা এক নির্দেশিকা অনুযায়ী, করোনা সতর্কতায় এই কলার টিউন চালাতে শুরু করেছিল।

 

ট্রেন্ডিং খবর