এই গ্রামের মেয়েরা গাঁটছড়া বাঁধলেই জরিমানা ১ লাখ!

Follw Us Now

 ছেলে-মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক হলেই বাবা-মা বিয়ের ব্যবস্থা করেন। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু শুনলে অবাক হবেন এই গ্রামের মেয়েরা বিয়ে করতে পারে না। রাজস্থানের মুন্ডিতে পঞ্চায়েতের তুঘলকি ফরমান চলছে। এখানে পঞ্চ প্যাটেল তিনটি গ্রামের যুবতীদের বিয়ে করতে দেয় না।  কোনও সমাজের যুবতীদের শারীরিক সম্পর্কের জন্য বাধ্য করে। এমনকী, বিয়ে করতে গেলে লক্ষ টাকার পেনাল্টি জারি করে দেয়। বিয়ে করতে গেলে আপনাকে মেয়ের পক্ষ থেকে লক্ষ টাকা দিতে হবে।

বাধ্য হয়ে বেছে নিতে হয় বেশ্যাবৃত্তি

এই অঞ্চলে এই কারণে এখানকার যুবতীরা অল্প পয়সার জন্য বেশ্যাবৃত্তি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এই সমস্ত যুবতীদের এই পরিস্থিতি থেকে বের করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জেলা কালেক্টর রেনু জয়পাল। ধীরে ধীরে মিলেছে সাফল্য। বর্তমানে ‘অপারেশন অস্মিতা’র মধ্য দিয়ে এখনকার সমাজের যুবতীরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন।

জানা যায়, বুন্দি জেলার বুন্দি গ্রামে, শংকরপুরা, রামনগর এবং ইন্দোরগড়, মনপুরায় কঞ্জর সমাজের এই লোক বাস করেন। তারাই এই রীতি চালু রাখেন নিজেদের সুবিধায়। এক লাখ টাকা না দিতে পারলে বিয়েও হয় না। সামান্য টাকার বিনিময়ে যুবতীরা নিজেদের বেশ্যাবৃত্তিতে নিজেদের জড়িত রাখতে বাধ্য করা হয় বলে দাবি স্থানীয়দের। পঞ্চায়েতের সামনে তাদের পরিবার এবং তাদের নিজেদের কোনও বক্তব্য চলে না। এখানে মেয়েরা ছোট থেকেই বেশ্যাবৃত্তির পেশায় পরিবার ও সমাজ দ্বারা ঠেলে দেওয়া হয়। এই পেশায় যুবতীদের জন্য অনেক রকম বিধিনিষেধে থাকে। যদি কেউ বিয়ে করতে চায়, তাহলে পঞ্চ প্যাটেলের আদেশ থাকবে। কিন্তু তার আগে এক লাখ টাকা পেনাল্টি জমা করতে হবে। এরপর বিয়ে করতে পারেন। 

এখন ‘অপারেশন অস্মিতা’র মাধ্যমে অনেকেই এই বন্ধন থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হচ্ছেন। ঘর-গেরস্থালি বসানো অনেক সহজ হয়েছে বুন্দিতে। জেলা কালেক্টর জানিয়েছেন, এই অভিযান ধীরে ধীরে কুরীতি দূর করতে এবং বিয়েতে বেশি করে মনোযোগী করতে সচেষ্ট হবে। এই ধরনের পঞ্চায়েত এবং অন্যদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।


ট্রেন্ডিং খবর