এখন ভারত : ভ্যাপসা গরমে মানুষ নাজেহাল। তাপমাত্রার পারদ ৩৫-৩৯ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। আর এই গরমে এখন বেশিরভাগ বাড়িতেই এসি-ই ভরসা। এসি চালালে স্বস্তিতে থাকা যায় ঠিকই, কিন্তু মাসের শেষে যা বিল আসে তা দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়। আজ আপনাদের এমন কয়েকটি পদ্ধতি সম্পর্কে জানাবো যে পদ্ধতিগুলি মেনে এসি চালালেও বিদ্যুতের বিল নিয়ন্ত্রিত থাকবে।
১) যে রুমে এসি চলবে সেই রুমের দরজা ও জানালা পুরোপুরি ভালোভাবে বন্ধ আছে কিনা নজর রাখুন। কারণ দরজা-জানালা সামান্য খোলা থাকলেও বাইরের তাপমাত্রা ভেতরে ঢোকে এবং রুমটি ঠান্ডা হতে বেশি সময় নেয়। সেক্ষেত্রে বিদ্যুৎ খরচও বেশি হয়।
২) এসিতে প্রতি ডিগ্রি তাপমাত্রা কমানোর ফলে বিদ্যুৎ খরচের হার ৬ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। অর্থাৎ এসির তাপমাত্রা যত কমাবেন কম্প্রেসার তত বাড়বে এবং বিদ্যুৎ খরচও বাড়তে থাকবে। তাই রাতে শোওয়ার সময় এসিতে সঠিক তাপমাত্রাতে সেট করুন।
৩) যদি বাইরের তাপমাত্রা ৩৫-৩৮ এর মধ্যে থাকে সেক্ষেত্রে রুমের ভেতরে এসির তাপমাত্রা ২৬-এ সেট করুন। কারণ ওই ২৫-২৬ তাপমাত্রা মানুষের শরীরের জন্য আরামদায়ক। পাশাপাশি এই তাপমাত্রা বিদ্যুতের জন্য সাশ্রয়ীও।
৪) আমরা প্রায়ই রাতে এসি চালিয়ে ঘুমাই। আর তা চলতে থাকে সকাল পর্যন্ত। অনেক ক্ষেত্রেই সকালের আবহাওয়া ঠান্ডা থাকে। সেই আবহাওয়াতে এসি চালানোর কোনো দরকার পড়ে না। কিন্তু তখনও এসি চলতে থাকায় বিদ্যুৎ খরচ হয়। তাই ভোর হওয়ার আগেই এসি বন্ধ করে দিন।
৫) রাতে যখন এসি চালাবেন তখন অন্যান্য হাইভোল্টেজ ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি যেমন ফ্রিজ, হোম থিয়েটার বন্ধ রাখুন। কারণ এসব চললে ঘরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। তাতে বিদ্যুৎও খরচ বেশি হয়।
৬) সর্বশেষ, এসিকে নিয়মিত সার্ভিসিং করলে তার এফিশিয়েন্সি বাড়ে এবং এর ফলে বিদ্যুৎ খরচ খুব কম হয়। তাই একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর এসি সার্ভিসিং করান।