এখন ভারত : ২০১৯-এর আতঙ্কের স্মৃতি ফিরে এল বৌবাজারে। দুর্গা পিতুরি লেনের পর এবার ফাটল আতঙ্ক মদন দত্ত লেনে।ফের একাধিক বাড়িতে ফাটল দেখা গিয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে তড়িঘড়ি বৃহস্পতিবার রাতেই জিনিসপত্র নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন ফাটলে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির সদস্যরা। রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসছেন তাঁরা। শুক্রবার সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোন মেট্রো রেলের আধিকারিকরা। তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয়রা। পুরো ঘটনায় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে। এলাকার মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশবাহিনী। এলাকাবাসীরকে অবিলম্বে এলাকা খালি করার আবেদন জানান তারা। যদিও কর্তৃপক্ষের আবেদনে বাড়ি ছাড়তে নারাজ এলাকাবাসী।
বিশ্বরূপ দে বলেন, ‘‘ভোররাতে ফাটল ধরলেও মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কারও দেখা পাওয়া যায়নি। পরে যাঁরা এসেছেন তাঁরা বিশেষজ্ঞ নন, আধিকারিক।”
বাসিন্দাদের সুরক্ষার কথা ভেবে প্রশাসনের তরফে আপাতত তাঁদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যদিও এই নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে বাসিন্দাদের একাংশ জানান, “দুর্গা পিতুরি লেনে যখন এই ঘটনা ঘটেছিল সেই সময় অনেককেই বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল। তাঁরা বাড়িও পাননি। এমনকি মেট্রো কর্তৃপক্ষও তাঁদের খোঁজ পর্যন্ত রাখেনি বলে অভিযোগ। তাই তারা স্পষ্ট জানিয়েছেন এলাকা ছেড়ে যাবেন না। এখানেই থেকে মরবেন।
ঘটনাস্থলের লাগোয়া এলাকায় যান চলাচলে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখছে কলকাতা পুলিশ।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ৩১ অগস্ট রাতে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সুড়ঙ্গ খুঁড়তে গিয়ে বৌবাজারের দুর্গা পিতুরি লেন এবং সেকরাপাড়া লেনের একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়েছিল। বিপজ্জনক অবস্থা হয় আরও একাধিক বাড়ি। ঘরছাড়া হন এলাকার বাসিন্দারা। কেউ পেয়েছেন ক্ষতিপূরণ কেউ বা এখনও রয়েছেন মেট্রোর ঠিক করে দেওয়া ভাড়াবাড়িতে। যাঁদের দোকানঘর ও গুদাম ভাঙা পড়েছিল, তাঁদেরও বিকল্প জায়গা করে দিয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
এর পর ২০২২-এর ১১ মে এবং ১৪ অক্টোবর ফের এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। বৌবজারের বাসিন্দারা একপ্রকার প্রাণহাতে দিন কাটাচ্ছেন।