পালাবদল নাকি পুরনোতেই আস্থা, বঙ্গ সিপিএম কোন পথে হাঁটবে তা জানতে আর দিন পাঁচেকের অপেক্ষা। কারণ সামনের সপ্তাহেই কলকাতায় শুরু হচ্ছে সিপিএমের রাজ্য সম্মেলন। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলা থেকে ডাক উঠেছে তরুণ প্রজন্মের কাঁধে দলের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হোক। সিপিএমের বহু প্রবীণ নেতাও সেটাই চাইছেন।
তবে জনভিত্তিহীন কয়েকজন নেতা কোনরকমে কমিটিতে থেকে যেতে মীনাক্ষী, দীপশিখা, সৃজন, ময়ূখ, প্রতিকুরদের শীর্ষস্তরের তুলে আনার বিরোধিতা করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। যদিও ওই কুচক্রি নেতাদের পরিকল্পনা শেষপর্যন্ত সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশ কম।
এমনিতে সম্মেলনের আগে করা নিয়ম মেনে ৭০ বছরের বেশি বয়সী নেতাদের রাজ্য কমিটি থেকে বিদায় নিশ্চিত করা হয়েছে। এই নিয়মের যাঁতাকলে পড়ে বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, রবীন দেব সহ সিপিএমের এক ঝাঁক শীর্ষ নেতাকে আর রাজ্য কমিটিতে দেখতে না পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। অবশ্য কেরলে এই নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে রাজ্য কমিটিতে রাখা হয়েছে।কিন্তু মাথায় রাখতে হবে কেরলে দল ক্ষমতায় আছে এবং মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পিনারাই বিজয়নের দাপট অপ্রতিরোধ্য। তাই তাঁর ক্ষেত্রে যে নিয়মের ব্যতিক্রম হলেও বাংলায় তা ঘটার বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছে সিপিএমের একাংশ।
এই পরিস্থিতিতে মহম্মদ সেলিম, শ্রীদীপ ভট্টাচার্য, শমীক লাহিড়ী ও আভাস রায়চৌধুরীর মধ্য থেকে কোনও একজন রাজ্য সম্পাদক হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও হাওড়ার প্রাক্তন জেলা সম্পাদক শ্রীদীপ ভট্টাচার্যের দিকেই আলিমুদ্দিনের বড় অংশের সমর্থন।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে মীনাক্ষী মুখার্জি কি রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে জায়গা পাবেন? সিপিএমের অন্দরের খবর নিচুতলার চাপকে এবার আর অমান্য করার সাহস দেখাবেন না নেতারা।